গতকাল রাতে হ্যামট্রাম্যাক শহরের জোসেফ ক্যাম্পু অ্যাভিনিউতে এসএনএস হোম লোন ও বাংলা ওয়ান টিভি আয়োজিত ২৩তম নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যাল-এ ৩০ হাজারেরও বেশি দর্শককে সংগীতের জাদুতে ভাসালেন এই রকস্টার।
অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বিকেল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন শহর এবং আশপাশের অঙ্গরাজ্য থেকে দর্শকদের ঢল নামে। কানাডা থেকেও বহু দর্শক এই উৎসবে যোগ দিতে আসেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে তিলধারণের ঠাঁই ছিল না।
শারমীনা সিরাজ সোনিয়ার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় প্রথমে মঞ্চে ওঠেন মিশিগানের জনপ্রিয় শিল্পী পৃথা দেব। এরপর পরিবেশন করেন বাংলাদেশের গর্ব, জালালাবাদের সন্তান ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সেলিম চৌধুরী। মিশিগানের নিজস্ব ব্যান্ড ‘রিদম অব বাংলাদেশ’ও তাদের পরিবেশনায় দর্শকদের মাতিয়ে তোলে।

এরপর মোটরসাইকেল চালিয়ে চমকপ্রদভাবে মঞ্চে প্রবেশ করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির সঙ্গে নাচ ও গানে অংশ নেন। ‘বিড়ি খাইলে হয় ক্যান্সার’, ‘অন্তর জ্বালা’, ‘এই তুমি সেই তুমি যাকে আমি চাই’, ‘হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ’সহ জনপ্রিয় অনেকগুলো গান পরিবেশনা করে দর্শকদের উচ্ছ্বসিত করেন। ডিগবাজি দিয়ে তিনি মঞ্চ ত্যাগ করলে দর্শকরা করতালিতে ভাসান।
রাত ৯টায় মঞ্চে আসেন নগর বাউল জেমস। তার মঞ্চে ওঠা মানেই যেন ভিন্ন মাত্রার উন্মাদনা। দর্শকদের পাগলামো, হৈ-হুল্লোড় আর উচ্ছ্বাসের সঙ্গে তিনিও মেতে ওঠেন। টানা দুই ঘণ্টা ধরে একের পর এক হিট গান পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন এই বরেণ্য শিল্পী। আয়োজকদের মতে, হ্যামট্রাম্যাকে এত বড় দর্শকসমাগম এর আগে কোনো কনসার্টে হয়নি।
কনসার্টের পাশাপাশি মেলার প্রতিটি স্টলে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। পণ্যের বৈচিত্র্য আর খাবারের সুবাসে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। ফুচকা, চটপটি, কাবাবসহ স্বদেশি খাবারের স্বাদ নিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছেন অনেকেই। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে আসা দর্শকদের হাসি-আনন্দে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে।
বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই কনসার্ট চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। সিটি পুলিশের তীক্ষ্ণ নজরদারি ও আয়োজকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।